জাতীয় সংবাদ

ইসলামি ব্যাংকিং শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত


প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে ইসলামিক ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের বিভিন্ন বিভাগে দায়িত্বরত মোট ২২জন নির্বাহী কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। দিনব্যাপি কর্মশালাটি প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণের মাধ্যমে শেষ হয়।


সেন্ট্রাল শরীয়াহ বোর্ড ফর ইসলামিক ব্যাংকস অব বাংলাদেশ ও ইসলামিক ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত দিনব্যাপী “ইসলামী ব্যাংকিং” শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। সেন্ট্রাল শরীয়াহ বোর্ডের সেক্রেটারি জেনারেল জনাব একিউএম ছফিউল্লাহ্ আরিফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের প্রধান শাখার ব্যবস্থাপক ও এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট জনাব মারুফ মনসুর। প্রধান প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ব্যাংক, দি সিটি ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, এবি ব্যাংক লিমিটেড ও আইএফআইএল-এর শরীআহ্ সুপারভাইজরি কমিটির চেয়ারম্যান এবং সেন্ট্রাল শরীয়াহ বোর্ড নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান জনাব এম আযীযুল হক। প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে ইসলামিক ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের বিভিন্ন বিভাগে দায়িত্বরত মোট ২২জন নির্বাহী কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।

প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে ইসলামিক ফাইন্যান্স ও ব্যাংকিংয়ের সাফল্য তুলে ধরে বলেন, ইসলামী ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ সুদমুক্ত আর্থিক কার্যক্রম প্রবর্তনের মাধ্যমে সমাজকে সুদের কুফল থেকে মুক্ত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, সমাজের অর্থনৈতিক বৈষম্য, দুর্নীতি -এ সবের মূলে রয়েছে সুদভিত্তিক অর্থব্যবস্থা। ইসলামী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বাস্তবায়নের মাধ্যমেই এই বৈষম্য ও অস্থিরতা দূর করা সম্ভব।জনাব এম আযীযুল হক বলেন, একজন মুসলমানের উপর ইবাদাত তথা নামাজ পালনের যে বিধান রয়েছে তা আদায়ে সময় লাগে বড়জোর দু‘ঘণ্টা। কিন্তু প্রতিদিন আল্লাহ্ মানুষকে সময় দান করেছেন চব্বিশ ঘণ্টা। বাকি বাইশ ঘণ্টা সে কোন কাজে লাগাবে ? এ সময়ে বান্দার নিকট আল্লাহ তায়ালার প্রত্যাশাই বা কী ? আমি মনে করি, সমাজ ও মানবতার কল্যাণে বাকি সময় ব্যয় করাটাই বান্দার নিকট আল্লাহ তায়ালার প্রত্যাশা। আর ইসলামিক ফাইন্যান্স বিষয়ক কার্যক্রমের মাধ্যমে বান্দাহ মানবতাকে সুদমুক্ত সমাজ উপহার দিতে পারে।জনাব একিউএম ছফিউল্লাহ্ আরিফ সভাপতির বক্তব্যে বলেন, মানুষ, সমাজ ও পরিবেশের জন্য যা কিছু অকল্যাণকর, ইসলামী ফাইন্যান্স তা সমর্থন করে না। ইসলামী ফাইন্যান্সের সুফল পেতে পুঁজিবাদী সভ্যতার দেশেও ইহুদী মালিকানাধীন ইসলামী ব্যাংকিং ও ফাইন্যান্স চালু হয়েছে। অনেক দেশ তাদের সমগ্র অর্থব্যবস্থাকে ইসলামের কল্যাণকর নীতির আওতায় আনার চেষ্টা করে যাচ্ছে। এটি কোন আবেগের বিষয় নয়, শ্রেষ্ঠত্বের মানদন্ডেই প্রমাণিত। সুদ সর্বাবস্থায় ঘৃণিত ও হারাম- চাই তা মহাজনী আঙ্গিকে নেয়া হোক অথবা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে নতুন নাম দিয়ে। ইসলাম উৎপাদনমুখী শিল্প স্থাপন ও নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টিকে উৎসাহিত করে এবং সাধারণ মানুষের চাহিদাকে অগ্রাধিকার দিয়ে সকল এলাকার সুষম উন্নয়নে সমবেত অংশগ্রহণ ইসলামের নীতি ও কৌশলের অংশ।

দিনব্যাপি কর্মশালাটি প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণের মাধ্যমে শেষ হয়।

সূত্র : প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Comment

লেখক পরিচিতি

আবদুল্লাহ মারুফ

আমি আবদুল্লাহ মারুফ। বর্তমানে অধ্যয়নরত আছি আল বায়ান অ্যারাবিক লানিং সেন্টারে। পাশাপাশি নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি হেরার জ্যোতি ও মাসিক ঘাসফড়িঙ -এর। পড়াশুনা, লেখালেখি আর ঘুরে বেড়ানো এই আমার ছোট্ট জীবন। ইসলাম প্রতিদিনের সাথে আছি কন্ট্রিবিউটিং রাইটার হিসেবে।

কমেন্টস করুন