জাতীয় সংবাদ

ওয়ার্ল্ড হজ অ্যান্ড ওমরাহ কনভেনশনে ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর ১০ পরিকল্পনা উপস্থাপন

লিখেছেন মিরাজ রহমান

২০২০ সালে বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনা আরো সহজ ও সেরা হবে বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব এডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। বঙ্গবন্ধু কন্যা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় ২০১৯ সালের হজ সফল হয়েছে বলেও জানান তিনি। ৩ নভেম্বরে লন্ডনের ব্রিটিশ হজ এন্ড ওমরাহ কাউন্সিল আয়োজিত ওয়ার্ল্ড হজ এন্ড ওমরাহ কনভেনশনে তিনি এ কথা জানান।

অনুষ্ঠানে ২০২০ সালের বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনা আরো সহজ করে হজ যাত্রীদের সুবিধা বাড়ানোর জন্য ১০ দফা পরিকল্পনা তুলে ধরেন বাংলাদেশের ধর্ম প্রতিমন্ত্রী। পরিকল্পনাগুলো হলো-  ১. রুট টু মক্কা ইনিশিয়েটিভের আওতায় শত ভাগ হাজির ইমিগ্রেশন বাংলাদেশে করানো। ২. হজ যাত্রীদের লাগেজ ব্যবস্থাপনা আরো দ্রুত ও উন্নত করা। ৩. বাংলাদেশী হজ যাত্রীর কোটা বাড়ানো। ৪. হজের ব্যয় কমানো। ৫. সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ যাত্রীর সংখ্যা বাড়ানো। ৬. হজ ও ওমরাহ আইন বাস্তবায়ন করা। ৭. জেদ্দা ও মদিনা এয়ারপোর্টে হজ যাত্রীদের অপেক্ষার প্রহর কমানো। ৮. সব দেশের হাজিদের সুবিধার জন্য মিনার আয়াতন বাড়াতে রাজকীয় সৌদি সরকারকে আনুষ্ঠানিক আহবান জানানো। ৯. মাশায়ের মোকাদ্দেশে হাজিদের সার্ভিস বৃদ্ধি। ১০. আল্লাহর মেহমান হাজিদের খাবার সরবারহে সৌদিআরবের প্রাইভেট কোম্পানীগুলোর বাধ্যবাধকতা বন্ধ করা।


লন্ডনে ওয়ার্ল্ড হজ এন্ড ওমরাহ কাউন্সিল এর অনুষ্ঠানে আলহাজ্ব এডভোকেট শেখ মোঃ আবদুল্লাহ

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব এডভোকেট শেখ মোঃ আবদুল্লাহ আজ লন্ডন ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে ওয়ার্ল্ড হজ এন্ড ওমরাহ কাউন্সিল এর এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

Gepostet von Ministry of Religious Affairs – ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় am Sonntag, 3. November 2019


ডাব্লিউ এইচ ইউ সি-এর সিইও মোহসিন তোতলা, নাইজেরিয়ার ন্যাশনাল হজ এন্ড ওমরাহ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ বশির, স্বাগতিক যুক্তরাজ্য, সৌদিআরব, ইন্দোনেশিয়া, মালয়শিয়া, ভারত, পাকিস্তানসহ অন্তত ২৫টি দেশের প্রতিনিধি এ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। এ বছর বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনার প্রশংসা করেন তাঁরা।

যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম, ধর্ম মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবিএম আমিনুল্লাহ নূরী ও যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত কাউন্সিলর (রাজনৈতিক) দেওয়ান মাহমুদুল হক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব এডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহর সাথে এ আন্তর্জাতিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

Comment

লেখক পরিচিতি

মিরাজ রহমান

গতানুগতিক ধারার বাইরে থেকে কাজ করে ইতিমধ্যেই বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন মিরাজ রহমান। পেশায় পুরোদস্তুর একজন সাংবাদিক হলেও কেবল ইসলামকে ঘিরেই আবর্তিত তার ধ্যান-জ্ঞান। দৈনিক পত্রিকার ইসলাম পাতায় লেখালেখি থেকে তিনি পরিচিত হয়ে উঠেছেন বটে, কিন্তু একসময় শিল্প চর্চায়ও ছিলেন বেশ মনোযোগী।
মিডিয়ায় সক্রিয়ভাবে কাজ শুরু করেছেন যখন, তখনও তিনি ছাত্র। মাদানিনগর মাদরাসার কাফিয়া জামাতের (শ্রেণি) শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় কণ্ট্রিবিউটর হিসেবে প্রথম কাজ শুরু করেন দৈনিক যুগান্তরে। ধারালো লিখনী শক্তি অল্পদিনের মধ্যে পরিচিত করে তোলে তাকে। দেশের জাতীয় দৈনিক পত্রিকার প্রায় সবগুলোতেই ইসলামবিষয়ক কলাম ও ফিচার লিখেছেন দীর্ঘ সময়। জাতীয় প্রিন্ট মিডিয়াগুলোতে তার অন্তত দুই সহস্রাধিক প্রবন্ধ-নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
মিরাজ মূলত পড়াশুনা করেছেন কওমি শিক্ষাধারায়, এর পাশাপাশি তিনি জেনারেল শিক্ষাধারায়ও পড়াশুনা করছেন। সহ-সম্পাদক হিসেবে প্রথম যোগদান করেন দৈনিক ডেসটিনি পত্রিকায়। সেখান থেকে দৈনিক কালের কণ্ঠে। দেশে-বিদেশে অনলাইন গণমাধ্যমের জয়যাত্রা শুরু হলে মিরাজ ইন্টারনেট জগতকে ইসলাম প্রচারের জন্য সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র বিবেচনা করে অনলাইনেই গাঁটছাড়া বাঁধেন। দেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ইসলামবিষয়ক অনলাইন পোর্টাল প্রিয়.কমের ‘প্রিয় ইসলাম’-এর সৃষ্টি ও পথচলার সূচনা তারই হাতে। দীর্ঘদিন কাজ করেছেন প্রিয়.কমের প্রিয় ইসলাম বিভাগের এডিটর ইনচার্জ। সর্বশেষ কর্মরত ছিলেন দৈনিক বাংলাদেশের খবরের ফিচার ইনচার্জ হিসেবে।
টেলিভেশনে অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা ও আলোচনার সঙ্গেও ইতিমধ্যে যুক্ত হয়েছেন মিরাজ রহমান। পরিচালনা করেছেন বেশ কিছু অনুষ্ঠানও। এসো কলম মেরামত করি, ছোটদের নবী-রাসূল সিরিজ, তাবলিগী জামাতের পৃষ্ঠপোষক-মুরুব্বি ছিলেন যাঁরা, শরয়ী পর্দার বিধান, আশিক মিন ফিলিস্তিন, নারী তুমি সৌভাগ্যবতী ও হালাল ব্যবসা ও হালাল অর্থনীতির কথকতাসহ বেশ কিছু আলোড়ন সৃষ্টিকারী গ্রন্থেও জনক তিনি। বর্তমান তিনি ইসলাম প্রতিদিনের সম্পাদক ও প্রকাশক এবং দ্য সুলতান প্রকাশনীর প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।