বিধান হালাল-হারাম

হালাল প্রসাধনী কেন ব্যবহার করবেন?

বাজারে এখন অনেক রকমের প্রসাধনীর সয়লাব। নানা প্রোডাক্টের বাহার। দেশি-বিদেশে, নাম জানা না জানা, চেনা অচেনা হাজারো কোম্পানির পন্য। এত সব পণ্যের মাঝে হালাল হারামের তফাৎ নিয়ে চিন্তা করে কয়টা প্রতিষ্ঠান তার পণ্য বাজারজাত করছে? এটি নি:সন্দেহে ভাবনার বিষয়। হালাল ও হারামের বিষয়ে রাসুলে আকরাম (সা.) এর সুস্পষ্ট ঘোষণা, যা হালাল সেটিও সুস্পষ্ট আর যেটা হারাম তাও সুস্পষ্ট। সুতরাং নবীজির এই ঘোষণার পরে একজন মুসলমানের জন্য হালাল ও হারামের বিষয়ে দোদুল্যমানতার কোন সুযোগ নেই।

প্রসাধনী আজ আমাদের প্রতিদিনে একান্ত প্রয়োজনীয় বিষয়। প্রসাধনী এখন কেবল নারীদের জন্যই নির্ধারিত নয়। বরং স্বাস্থ্য সচেতন পুরুষ, শিশু, কিশোর যুবক এক কথায় সকলেরই একান্ত প্রয়োজন। কিন্তু এই অতিব জরুরী প্রসাধনীটির ক্ষেত্রে তখনি আমরা থমকে যাই, যখন শুনি, আমার প্রিয় ক্রিম বা স্নো অথবা পবিত্রতা অর্জনের অন্যতম মাধ্যম সাবানটি তৈরী হচ্ছে হারাম এবং নাপাক বস্তু দিয়ে। অথবা নিকৃষ্ট কোন পশুর চর্বি দিয়ে। যা একজন মুসলমানের জন্য সম্পূর্ণ হারাম। তাহলে কি আমরা প্রসাধনী ব্যবহার করবো না! নাকি হারামের সংমিশ্রণ ব্যতীত কোন প্রসাধনী তৈরি করা যায় না! এমনতর অবস্থায় একজন নূন্যতম ঈমানদার হিসেবে আমাদের করণীয় কী?

এ বিষয়টি নিয়ে আজ সব জায়গাতেই তুমুল আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের সমাজে যারা প্রসাধনী নিয়ে ব্যবসা করছেন, তারা কি হালাল-হারামের তোয়াক্কা করছেন! আমাদের ঈমান ও তাকওয়া প্রতি নূন্যতম শ্রদ্ধা ও দায়িত্ববোধ কি তাদের আছে!! এ ভাবনাও আজ অনেকের মনে উঁকি দিচ্ছে। অনেকে বলছেন, পণ্যের গায়ে তো হালাল ট্যাগ আছে। এতে কি আমরা দায়মুক্ত হতে পারি না! বর্তমান সময়ের অনেক আলেম ও শরিয়াহ বিশেষজ্ঞদের ভাষ্য মতে, পণ্যের গায়ে হালাল ট্যাগ থাকলেই এটি হালাল হওয়ার ব্যাপারে যথেষ্ট নয়। কারন হালালের দুটি ব্যাখ্যা আছে। বিষয়টি পরিষ্কার হওয়ার জন্য একটি উদাহরণ দেয়া যেতে পারে। ধরুন। কোন একটি সুপারসপ থেকে আপনি প্যাকেটজাত একটি মুরগি কিনলেন। বর্তমানে শহর বা উপশহরগুতে প্যাকেটজাত মাংসের চাহিদা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন এই মুরগির প্যাকেটের গায়ে যদিও হালাল লেখা থাকে তবে এই হালাল লেখা ট্যাগ পণ্যটিকে সম্পূর্ণ রূপে হালাল হিসেবে গণ্য করবে না। যতক্ষণ না একথা সুস্পষ্ট ভাবে জানা যাবে যে, এই মুরগিটি আল্লাহর নামে যাবেহ করা হয়েছে। তার মানে হল, একটি প্রাণী হালাল হতে হলে দুটি শর্ত আবশ্যক। এক, প্রাণীটি হালাল হওয়া। এবং দুই প্রাণীটি আল্লাহর নামে যাবেহকৃত হওয়া। এই দুই শর্তের যে কোন একটি না থাকলে, মাংশ জাতীয় কিছু খাওয়া মুসলমানদের জন্য হালাল নয়। অবশ্য ভুলবশত বিসমিল্লাহ ছুটে গেলে সেটি ইমামে আজম আবু হানিফার (রহ.) মতে জায়েজ।

এবার আসি আলোচ্য বিষয়ে, আপনি একটি প্রসাধনী কিনলেন। সেটি হয়তো সাবান বা লোশন। সেটিতে হয়তো এই কথাও লেখা থাকলে যে, পণ্যটি হালাল। এখন এই হালালের মানে কী? এর এক মানে তো এই যে, এ পণ্যটি শুকরের চর্বি দিয়ে উৎপণ্য নয়। শ্রেফ এতটুকু বিষয়ই কি একটি প্রসাধনী হালাল হওয়ার ব্যাপারে যথেষ্ট? শরিয়াহ বিশেষজ্ঞদের অভিমত অনুযায়ী উত্তর হবে, না। কেবলমাত্র নাপাক বা নিষিদ্ধ কোন প্রাণীর চর্বি মুক্ত থাকাটাই একটি পণ্য হালাল হওয়ার ব্যাপারে যথেষ্ট নয়। বরং পণ্যটি উৎপাদনের সব প্রক্রিয়ায় কাঁচামাল থেকে শুরু করে বাজারজাতকরণের শেষ ধাপ পর্যন্ত হালাল কোয়ালিটির সকল নিয়ম রক্ষা করলেই কেবল পণ্যটি হালাল হবে। এবং এটিকে হালাল প্রসাধনী বলে সাব্যস্ত করা যাবে।

হালাল আল্লাহপাকের পক্ষ থেকে একটা ফরজ বিধান। এটা মানা প্রতিটি মুসলিম নরনারীর উপর আবশ্যক। এই হালালেই রয়েছে সার্বজনীন কল্যাণ ও সফলতা। প্রশ্ন হতে পারে, হালাল কি কেবল মুসলমানদের জন্য আবশ্যক। সে ক্ষেত্রে আমাদের উত্তর হবে, না। হালাল বিষয়টি কেবল মুসলমানদের জন্যই নয়। বরং প্রতিটি সচেতন মানুষের জন্য পণ্যটি হালাল হওয়া অবশ্যক। কারন আল্লাহ পাক যেমন রব্বুল আলামিন। রাসূল যেমন রাহমাতুল্লিল আলামিন। তেমনি কোরআন হল, গোটা মানব জাতির দিকনির্দেশনা। আলোকিত রাহনুমা ও সিরাতে মোস্তাকিম। এ জন্য হালালেই বরকত। হালালেই শান্তি। হালালেই জীবন ও জীবিকার প্রশান্তি।  এ কারনেই সারা পৃথিবীতে অনেক অমুসলিমও পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে হালাল পণ্য বা হালাল কসমেটিক্স ব্যবহার করছেন। যাতে করে স্কিনে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি না থাকে। মূল কথা হচ্ছে, নিজের শরিরকে নিরাপদ রাখার জন্যই এই হালাল পণ্য বা কসমেটিক্স ব্যবহার করছেন। একজন অমুসলিম যদি কেবলমাত্র দুনিয়ার নিরাপত্তার জন্য হারাম বর্জন করে হালালের স্নিগ্ধ ছায়ায় আশ্রয় খুঁজতে পারে আমরা মুসলিম হয়ে কেন এ বিষয়ে উদাসীন হয়ে আছি !

wordah

চারদিকে নানা হতাশার মাঝেও আশার কথা হল, পৃথিবীর নানা দেশে বর্তমানে হালাল প্রসাধনীর প্রচলন শুরু হয়েছে। সাবান থেকে নিয়ে লিপিস্টিক পর্যন্ত সব রকমের প্রসাধনীতে সম্পূর্ণ হালাল উপাদানের সংমিশ্রণে মানসম্পন্ন প্রডাক্ট বাজারজাত হচ্ছে। এ বিষয়ে বেশ অগ্রগামী হল ইন্দোনেশিয়া। ইন্দোনেশিয়া মৌলিকধারার একটি মুসলিম দেশ। সেখানে উচ্চমান সম্পন্ন একটি হালাল শরীয়াহ কাউন্সিল রয়েছে, যেটা আন্তর্জাতিক হালাল শরীয়াহ বোর্ডের সাথে সংযুক্ত। ইন্দোনেশিয়াতে সম্প্রতি হালাল প্রসাধনী উৎপাদন ও বাজারজাত শুরু হয়েছে। যারা এই প্রসাধনী উৎপাদন করেন তারা সে দেশের সর্বোচ্চ শরীয়াহ কাউন্সিলের সর্ব প্রকার অনুমোদন নিয়েই প্রসাধনী উৎপাদন ও বাজারজাত করে থাকেন। এবং উৎপাদনের শুরু থেকে বাজারজাত করনের শেষ ধাপ পর্যন্ত ইন্টারন্যাশনাল শরীয়াহ বোর্ডের সার্বিক দিক-নির্দেশনা অনুযায়ী সব কিছু পরিচালনা করেন।

হালাল পণ্য উৎপাদন ও বিশ্বব্যাপী বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় পর্যায়ে আছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি গবেষণায় দেখা গেছে, মুসলিম বিশ্বে কসমেটিক্স বা প্রসাধনী ব্যবহারে বাংলাদেশ এখন ষষ্ঠস্থানে অবস্থান করছে। এই জরিপ টি বেশ ক বছর আগের। বাজার পর্যবেক্ষণ এবং মানসম্পণ্য হালাল প্রসাধনী উৎপাদনে বিশেষ দৃষ্টি দিলে বিশ্ব বাজারে আমাদের অবস্থান ঈর্ষণীয় পর্যায়ে উন্নীত হতে পারে। এ ক্ষেত্রে যথাযথ মহলের পদক্ষেপ গ্রহণ একান্ত কাম্য। আন্তর্জাতিক বাজার গবেষক দেলত্তি তমাতসু সম্প্রতি এক প্রবন্ধে উল্লেখ করেন, গত এক বছরে হালাল পণ্যের বিক্রির হার ১৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৫ সালে মোট বিক্রীত হালাল পণ্যের মধ্যে শুধু প্রসাধনী বিক্রির হার ১১ শতাংশ। নগদ আর্থিক মূল্যে তা এক ট্রিলিয়ন ডলারের অধিক। মালয়েশিয়ায় বেশ কিছুদিন আগেই স্থানীয়ভাবে বেশকিছু কোম্পানি হালাল পণ্য উৎপাদন করা শুরু করেছে। সে বাজারগুলোই ধরতে চাইছে বিশ্বের খ্যাতনামা কোম্পানিগুলো।

জার্মানের বিখ্যাত প্রসাধনী কোম্পানি ল’ রিয়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘হালাল’ হলো একটি উচ্চপর্যায়ের স্বীকৃতি, যেটা নিশ্চিত করে যে পণ্যটি ইসলামি শারিয়াহ অনুসারে উৎপাদিত হয়েছে। এর মানে হলো, পণ্যগুলোর মধ্যে শূকর, অ্যালকোহল এবং রক্তজাতীয় কোনো পদার্থের মিশ্রণ নেই। পরিষ্কার এবং দূষণমুক্ত। এটি নিশ্চিত করতে পারলে বিশ্বের ১৫০ কোটি মুসলমানের মধ্যে আলাদাভাবে ব্যবসায়িক সুবিধা পাওয়ার একটা সুযোগ আছে। এতে বিশ্বের মোট জনগোষ্ঠীর এক-চতুর্থাংশ পরিমাণ মানুষের মূল্যবোধের প্রতিও সম্মান দেখানো হবে এবং বিশ্বব্যাপী কোম্পানিগুলোর ব্যবসার বিস্তৃতিও নিশ্চিত হবে।

সাইমন ইমরান হায়দার। সাইমন এ্যানমির চেয়ারম্যান। বাংলাদেশে প্রথম হালাল প্রসাধনীর উদ্যোক্তা। বাংলাদেশে হালাল প্রসাধনী বাজারজাত করার বিষয়ে দীর্ঘ দিন ধরে কাজ করছেন এই ইন্টারপ্রেইনর। বাংলাদেশে হালাল প্রসাধনী সমস্যা ও সম্ভাবনার বিষয়ে কথা হলে তিনি জানান, বিগত পাঁচ বছর থেকে বাংলাদেশে হালাল প্রসাধনী বাজারজাত করার বিষয় নিয়ে কাজ করছি। যদিও বাংলাদেশে বাজারজাতকরণ শুরু হয়েছে বছর খানেক ধরে । বাংলাদেশে আমরাই একমাত্র প্রতিষ্ঠান যারা অনেক গবেষণা করে এই ব্যবসাটা শুরু করেছি। সারা বিশ্বের মার্কেটে হালাল প্রসাধনীর চাহিদা বেশ ভালো এবং খুব ভালো মানের আন্তর্জাতিক অনেক কোম্পানি বিভিন্ন হালাল প্রসাধনী বাজারজাত করেছ। সারা বিশ্বে মুসলিম-অমুসলিম নির্বিশেষে মানুষ হালাল প্রসাধনী ক্রয় করছেন এবং ব্যবহার করছেন। পণ্যের ভিতরে কী আছে সেই বিষয়ে বাংলাদেশের মানুষের ততটা আগ্রহ থাকে না। তারা বরং পণ্যের রং দেখে পণ্য কিনে থাকে। তবে আমাদের পণ্যে হালাল লেখা থাকার কারণে অনেকে এই বিষয়ে জানতে আগ্রহী হচ্ছে এবং ধীরে ধীরে আগ্রহ সৃষ্টি হচ্ছে। একটা নতুন বিষয় চালু হতে একটু সময় লাগে- আর এটা স্বাভাবিক।

বাংলাদেশে পণ্যের শরিয়াহ’র মান নির্ধারণে সরকারিভাবে কাজ করছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি যে সকল শরিয়াহ গবেষণা প্রতিষ্ঠান আছে এগুলোর সমন্বয়ে আরও একটি শক্তিশালী শরিয়াহ বিশেষজ্ঞ টিম গঠন করা যেতে পারে। সবকিছু মিলিয়ে এ কথা বলা যেতে পারে যে, সামনে সুদিন অপেক্ষা করছে। হারামের অন্ধকারের পর্দা ভেদ করে হালালের আলো আসার দিন। যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে আগামীতে হালাল পণ্য, হালাল প্রসাধনীর উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের সুনাম ও সুখ্যাতি বিস্তৃত হবে আরও গতিশীলতার সাথে। উন্মুক্ত হবে সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত। ইন শা আল্লাহ।

Comment

লেখক পরিচিতি

গাজী সানাউল্লাহ রাহমানী

তরুণ আলেম ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব গাজী সানাউল্লাহ রাহমানী। বাংলাদেশের টেলিভিশনের ধর্মপ্রাণ দর্শক-শ্রোতাদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি নাম। মিডিয়ার সাথে সম্পৃক্ততা ছাত্রজীবন থেকে। বিগত এক দশকের বেশী সময় ধরে বাংলাদেশের স্যাটেলাইট চ্যানেলের ইসলামী অনুষ্ঠানসমূহে সরব অংশগ্রহণ করে আসছেন তরুণ এই স্কলার। এছাড়া সাউদি আরবের বিখ্যাত চ্যানেল আল মক্কা টিভি, নিউয়র্কের টাইম টেলিভিশন ও মধ্যপ্রাচ্যের জনপ্রিয় চ্যানেল আল মাজদের সাথেও কাজ করে অভিজ্ঞতাকে করেছেন বর্ণময়।
কাজের স্বীকৃতি হিসেবে সন্মানিত হয়েছেন সাউদি সরকারের বিশেষ মেহমান হিসেবে আমন্ত্রিত হয়ে। পেয়েছেন পবিত্র কাবার মহামান্য ইমামের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ক্রেষ্ট। এছাড়াও পেয়েছেন জাগৃতি লেখক ফোরাম সম্মাননা। কোরআন-সুন্নাহ মাল্টিমিডিয়া সন্মাননা। শাহে মদিনা শিল্পী গোষ্ঠি সন্মাননা। মারকাযুত তাহফিজ মিডিয়া পদক। ঐশিস্বর মিডিয়া পদক। ঢাকাস্থ সাউদি দুতাবাসের ধর্মীয় অনুষদ কর্তৃক দায়ী ও খতিব সন্মাননা সনদ।
সাধারণ মানুষের মাঝে ইসলামী অনুশাসনের ব্যাপক প্রচারের লক্ষ্যে কাজ করছেন নানাবিধ প্রতিষ্ঠানে। তরুণ ও অভিজ্ঞ শরিয়াহ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেছেন শরিয়াহ রিসার্চ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ। ইসলামী অর্থনীতি ও হালাল প্রসাধনীর বিষয়ে শিকড়ের গভীরে গিয়ে কাজ করছে তিনি। সম্প্রতি ভারতে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক ফেকাহ সেমিনারে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে প্রশংসিত হয়েছেন।
খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন হাজী মফিজুর রহমান ট্রাস্ট, মোহাম্মদী হাউজিং সোসাইটি, মোহাম্মদপুর, ঢাকার কেন্দ্রীয় মসজিদ ও ইসলামী কমপ্লেক্স। পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীনে ঢাকাস্থ হজ ক্যাম্পের হজ প্রশিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত আছেন। শিশুদের কোরআনী শিক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠা করেছেন মাদরাসাতুল কোরআন। দেশের নানা প্রান্তে দ্বীনি আলোচনার পাশাপাশি ইসলামকে বিষয় হিসেবে ধারণ করে লেখালিখি করছেন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায়।

কমেন্টস করুন