নবীজি (সা.)

হজরত ফাতিমার বিয়েতে রাসুল (সা.) কি উপহার দিয়েছিলেন?

পিতা-মাতা, ভাই-বোন, স্বামী-স্ত্রী, সন্তান-সন্তুতি— এই মিলে আমাদের পরিবার। বাবার কাছে মেয়ে এবং মেয়ের কাছে বাবা একটি পরম শ্রদ্ধেয় নাম। অস্তিত্বে আপন অস্তিত্ব। পৃথিবীর এমন কোন বাবা আছেন যিনি তার মেয়েছে সুখে দেখতে চান না? নেই, একেবারেই নেই। কারণ সব বাবারাই চান তার মেয়ে সুখে থাকুক এবং শান্তিময় হোক তার সংসার। মেয়ে বা কন্যা সন্তান হয়ে জন্মানো মানেই একদিন বিয়ের পিরিতে বসে অন্যের ঘরে চলে যাওয়া। বারা ঘর ছেড়ে স্বামীর ঘরকে আপন করে নেওয়া।

প্রত্যেক বাবার মনেই এমন ইচ্ছা থাকে— মেয়েটিকে ভালো এবং সৎ পাত্রের কাছে বিয়ে দেওয়া। এই বিয়েতে প্রত্যেক বাবাই স্বাদ ও সাধ্যের মিলন ঘটিয়ে নিজ কন্যাকে বধু বেশে তুলে দেন বরের হাতে এবং স্বাদ ও সাধ্য অনুযায়ী উপহার তুলে দেন কন্যাকে। কিন্তু একজন মুসলিম হিবেকে কখনো কি আমরা জানতে চেষ্ঠা করেছি— মেয়ে ফাতিমা (রা.) -এর বিয়েতে পিতা মুহাম্মদ (সা.) উপহার হিসেবে কি দিয়েছিলেন?

আল-ইসাবাহ গ্রন্থাকার লিখেন, সায়্যিদুনা হজরত রাসুল (সা.) বিয়ের উপঢৌকন হিসেবে হজরত ফাতিমাকে (রা.) একটি বিছানার চাদর, একটি খেজুরের ছাল ভর্তি চামড়ার বালিশ, দুইটি আটা পিষার চাক্কি বা যাতা এবং দুইটি পাত্র দিয়েছিলেন।

অন্য এক বর্ণনায় চারটি বালিশের কথা পাওয়া যায়। আরো এক বর্ণনায় একটি চৌকি দেওয়ার কথাও এসেছে। আরেক বর্ণনা মতে বিছানাটি ছিল দুম্বার চামড়ার, সম্ভবত এটি আলী (রা.) -এর নিজের ছিল অথবা রাসুল (সা.) দিয়েছিলেন এমনও হতে পারে। বিয়ের দ্বিতীয় দিন হজরত আলী (রা.) ওয়ালিমার আয়োজন করেছিলেন যাতে খাবার তালিকায় নিত্যদিনের স্বাভাবিক আইটেমই ছিল। খেজুর, যবের রুটি, হারিরা স্যুপ ও দুম্বার গোস্তের ব্যাবস্থা করেছিলেন তিনি। হজরত আলী (রা.) -এর কোনো খাদেম ছিল না। সংসারিক কাজ স্বামী-স্ত্রী উভয়ে মিলে সেরে নিতেন। রাসুল (সা.) এভাবে তাদের কাজ বন্টন করে দিয়েছিলেন— ঘরের কাজগুলো করবেন ফাতিমা (রা.) যেমন— আটা পিষা, রুটি বানানো, বিছানার চাদর বিছানো এবং ঝাড়ু দেয়া ইত্যাদি আর বাইরের কাজগুলো আঞ্জাম দিবেন হজরত আলী (রা.)

Comment

লেখক পরিচিতি

মুফতি রহিমুল্লাহ শরীফ

রহিমুল্লাহ শরীফ ৷ জন্ম বাংলাদেশের দক্ষিণ সীমান্ত উপজেলা টেকনাফ পৈরসভাস্থ খানকার পাড়ায়৷ প্রাথমিক পড়ালেখা পাড়ার মকতবে। এরপর টেকনাফ মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় হয়ে জামেয়া ইসলামিয়া টেকনাফের হিফজ বিভাগে ৷ হিফজ সমাপ্ত করে হেদায়তুন্নাহু জামাত পর্যন্ত টেকনাফ জামেয়ায় ৷ এরপর ২০০৯ সালে দেশের অন্যতম দ্বীনি প্রতিষ্ঠান জামেয়া ইসলামিয়া পটিয়া ভর্তি ৷ কাফিয়া জামাত থেকে দাওরা সমাপনি পর্যন্ত জামেয়া পটিয়ায় ৷ ২০১৪/২০১৫ শিক্ষাবর্ষে পটিয়া থেকে মুমতাজ পেয়ে দাওরায়ে হাদিস পাশ করেন।
দাওরায়ে হাদিস শেষ করে ভর্তি হন ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার বসুন্ধরায় ৷ মুমতাজ দরজা পেয়ে সমাপ্ত করেন ইফতা। বর্তমানে কর্মরত আছেন কক্সবাজার ইলামিক রিসার্চ সেন্টারে মুদাররিস হিসেবে। এর মাঝেই আমি দাখিল, আলিম ও ফাজিল সম্পন্ন করেছেন।