জাতীয় সংবাদ

শর্ত সাপেক্ষে কওমি মাদ্রাসা খুলে দিল সরকার

৬ শর্তের আলোকে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষা কার্যক্রম শুরু ও পরীক্ষা নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে সরকার। বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া দেশের কওমি মাদরাসাগুলোর শিক্ষা কার্যক্রম শুরু ও পরীক্ষা নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে সরকার। সোমবার (২৪ আগস্ট) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বেফাকুল মাদারিসিদ্দীনিয়্যা বাংলাদেশের আবেদনের প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ নিশ্চিত করে নিম্নবর্ণিত শর্তে (প্রয়োজনে স্বাস্থ্য বিভাগের মনিটরিংয়ের মাধ্যমে) বাংলাদেশের সকল কওমি মাদ্রাসা সমূহের কিতাব বিভাগের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু ও পরীক্ষা গ্রহণের অনুমতি দেওয়া হল।
শর্তগুলো হল— ১. প্রত্যেক শিক্ষার্থীর মাস্ক, হ্যান্ডগ্লাভস ও মাথায় নিরাপত্তা টুপি পরা আবশ্যক। ২. মাদ্রাসায় প্রবেশের পূর্বে মূল প্রবেশদ্বারে স্যানিটাইজিং করতে হবে। ৩. শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ কক্ষে অবস্থান করবে। বিক্ষিপ্তভাবে এদিকসেদিক চলাফেরা করবে না। ৪. একজন শিক্ষার্থী থেকে অন্য শিক্ষার্থী কমপক্ষে তিন ফুট দূরত্ব অবস্থান করবে। ৫. কোভিড-১৯ এর কারণে কোলাকুলি ও মুসাফাহা করবে না। ৬. শিক্ষকগণ ও কর্মচারীগণও একইভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন।
প্রসঙ্গত, গত ১২ জুলাই থেকে দেশের সব হাফিজিয়া মাদ্রাসা চালুর অনুমতি দিয়েছে সরকার। ৮ জুলাই ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করে। সেখানে বলা হয়, এসব মাদ্রাসাকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে। এরও আগে ১ জুন দেশের কওমি মাদ্রাসায় ছাত্রছাত্রী ভর্তির কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে অফিস খোলার অনুমতি দিয়েছিল সরকার। সে ধারাবাহিকতায় কুরবানির আগে মাদ্রাসার অন্য বিভাগগুলো খোলারও অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তখন অনুমতি দেওয়া হয়নি।
কওমী মাদরাসার সম্মিলিত শিক্ষাবোর্ড আল হাইআতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়ার অধিনে থাকা কওমী মাদরাসার একটি বোর্ড ‘জাতীয় দ্বীনি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের’ উধ্বর্তন চার সদস্য তথা এ বোর্ডের সহ-সভাপতি ড. মাওলানা মুশতাক আহমদ ও মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ এবং বোর্ডের মহাসচিব মুফতি মোহাম্মদ আলী এবং মাওলানা মুজিবুর রহমানসহ কওমি আলেমদের একটি প্রতিনিধি দল গত ১৭ আগস্ট মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সাথে বৈঠক করেন এবং কওমী মাদরাসাগুলো খুলে দেওয়ার অনুরোধ জানান।

 

Comment

লেখক পরিচিতি

মুহাম্মদ বিন ওয়াহিদ

মুহাম্মদ বিন ওয়াহিদ— তরুণ সংবাদকর্মী ও সম্পাদক হিসেবে পরিচিত। ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার ডাকাতিয়া গ্রামের বাসিন্দা। প্রাথমিক শিক্ষাজীবন শুরু গ্রামের মক্তব থেকে। ৭ বছর বয়সে নিজ ইচ্ছায় ইসলামী শিক্ষা শুরু করেন ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামি'আ রাহমানিয়া আরাবিয়ায়। সেখানে দীর্ঘ ১২ বছর পড়াশোনা করে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণের জন্য চলে যান ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দে। সেখানে দেড় মাস অবস্থান করে পারিপার্শ্বিক অবস্থার অবনতির জন্য দেশে চলে আসতে হয় তাকে। সর্বশেষ ২০২০ সালে তিনি জামিয়া শারঈয়্যা মালিবাগে দাওরায়ে হাদিস অধ্যয়ন করছেন।
২০১২ সালে মিজান জামাত থেকে লেখালেখির সূচনা করেন এবং এর কিছুদিন পর থেকেই বিভিন্ন ছোট কাগজে, গল্প,কবিতা, প্রবন্ধ-নিবন্ধ, ভ্রমণকাহিনিসহ নানা বিষয়ে তিনি নিয়মিত লিখতে থাকেন। ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর হিজরত পরবর্তী জীবন নিয়ে ৬৪ পৃষ্ঠার চমৎকার একটি উপন্যাসের বইও তিনি রচনা করেন। যা মানবাধিকার প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হয়েছে।
২০১৯ সাল থেকে দৈনিক যুগান্তর,দৈনিক আমার সংবাদ,দৈনিক আমাদের সময়, দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ,বার্তা২৪, দুরন্ত নিউজ, ইনসাফ, আওয়ার ইসলাম এবং ইসলাম প্রতিদিনসহ দেশের সব জাতীয় দৈনিকে তিনি নিয়মিত লিখে চলেছেন। এছাড়াও কাজ করছেন ইসলাম প্রতিদিনের আন্তর্জাতিক ডেক্সে।