জাতীয় সংবাদ

এ বছর ফিতরা জনপ্রতি সর্বোচ্চ ২২০০ ও সর্বনিম্ন ৭০ টাকা

১৪৪১ হিজরি সনের সাদাকাতুল ফিতরের হার জনপ্রতি সর্বোচ্চ ২২০০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।  সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভাপতি ও বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান।

সভায় সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, ইসলামি শরিয়া মতে আটা, যব, গম, কিসমিস, খেজুর ও পনির ইত্যাদি পণ্যগুলোর যেকোনো একটি দ্বারা ফিতরা প্রদান করা যায়। আটা দ্বারা ফিতরা আদায় করলে অর্ধ সা’ বা ১ কেজি ৬শ’ ৫০ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজার মূল্য ৭০ (সত্তর) টাকা প্রদান করতে হবে।

যব দ্বারা আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩ শ’ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজার মূল্য ২৭০ (দুইশ সত্তর) টাকা, গম দ্বারা আদায় করলে অর্ধ সা’ বা ১ কেজি ৬শ’ ৫০ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজার মূল্য ৭০ (সত্তর) টাকা, কিসমিস দ্বারা আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩শ’ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজার মূল্য ১৫০০ (এক হাজার পাঁচশ) টাকা, খেজুর দ্বারা আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩ শ’ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজার মূল্য ১৬৫০ (এক হাজার ছয়শত পঞ্চাশ) টাকা, পনির দ্বারা আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩ শ’ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজার মূল্য ২২০০ (দুই হাজার দুইশ) টাকা ফিতরা প্রদান করতে হবে।

দেশের সকল বিভাগ থেকে সংগৃহীত আটা, যব, গম, কিসমিস, খেজুর ও পনিরের সর্বোচ্চ বাজার মূল্যের ভিত্তিতে উপর্যুক্ত ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে। মুসলমানগণ নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী উপরোক্ত পণ্যগুলোর যেকোনো একটি পণ্য বা এর বাজার মূল্য দ্বারা ফিতরা আদায় করতে পারবেন। তবে উপরোক্ত পণ্যসমূহের স্থানীয় খুচরা বাজার মূল্যের তারতম্য রয়েছে। তদানুযায়ী স্থানীয় মূল্যে পরিশোধ করলেও ফিতরা আদায় হবে।

সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ, শোলাকিয়া ঈদগাহের ইমাম মাওলানা ফরীদ উদ্দিন মাসউদ, জাতীয় মুফতি বোর্ডের সদস্য সচিব মো. নুরুল আমীন, লালবাগ মাদরাসার মুফতি মো. ইয়াহিয়া, মদিনাতুল উলুম কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. আবদুর রাজ্জাক, ঢাকা নেসারিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা কাফীলুদ্দীন সরকার সালেহী, কাদেরিয়া তৈয়্যেবিয়া কামিল মাদ্রাসার প্রধান মুফতি মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসান, জামিয়া আশরাফিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আ. আলীম ফরিদী, জামিয়া শারইয়্যাহ মাদরাসার সহকারী মুফতি আব্দুল্লাহ মাসুম, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক মো. আনিসুজ্জামান সিকদার, মো. আনিছুর রহমান সরকার, উপ-পরিচালক ও মুহাদ্দিস মুফতি ওয়ালিয়ূর রহমান খান, সম্পাদক ড. মাওলানা মুশতাক আহমদ, সম্পাদক ড. মাওলানা আবদুল জলীল, মুফাসসির ড. মাওলানা মুহাম্মদ আবু সালেহ পাটোয়ারী, মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, ড. মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ, মিজানুর রহমান সাঈদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

Comment

লেখক পরিচিতি

তামীম হুসাইন শাওন

তামীম হুসাইন শাওন— তরুণ মিডিয়াকর্মী হিসেবে পরিচিত। ঢাকার অদুরে দোহার উপজেলার বাসিন্দা। প্রাথমিক শিক্ষাজীবন শুরু গ্রামের স্কুল থেকে। ১০ বছর বয়সে নিজ ইচ্ছায় ইসলামী শিক্ষা শুরু করেন গ্রামের মাদরাসাতে। এরপর দীর্ঘ ৮ বছরের শিক্ষা জীবন কাটান গাজীপুরের একটি মাদরাসায়। ২০১৮ সালে যাত্রাবাড়ী মাদরাসা থেকে দাওরা হাদীস (মাস্টার্স) সম্পন্ন করেন। ২০১৯ সালে ইসলামী আইন নিয়ে গবেষণা (মুফতি কোর্স) সম্পন্ন করেন। কওমি মাদরাসায় অধ্যায়নরত অবস্থায় জেনারেল শিক্ষায় পর্যায়ক্রমে JDC, SSC ও HSC সম্পন্ন করেন।
২০১০ সালে মিজান জামাতে লেখাপড়ার কালে 'দৈনিক আমার দেশ' পত্রিকায় মতামত প্রকাশের মধ্যদিয়ে লেখালেখি বা সাহিত্য চর্চা শুরু করেন। এরপর সাপ্তাহিক ও মাসিক পত্রিকায়ও তার বেশকিছু লেখা প্রকাশ হয়েছে। ২০১৮-১৯ পর্যন্ত জাতীয় অগ্রযাত্রা ও অগ্রযাত্রা২৪.কম-এ স্টাফরিপোর্টার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। শিক্ষাজীবন চলাকালেই এই তরুণ আলেম ইসলামী মিডিয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে ইসলামী মিডিয়ায় কাজ শুরু করেন। যার মাধ্যমে এখন উপস্থাপনা ও সাংবাদিকতার কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি ইতিমধ্যে Lal Sobuj Multimedia ও QURAN amar VALOBASHA নামে দুটি ইউটিউব চ্যানেল পরিচালনা করছেন। এছাড়াও সমকালীন২৪.কম নামে একটি নিউসপোর্টালের সম্পাদক হিসেবে আছেন। গ্রাফিক্স ডিজাইন ও ভিডিও এডিটিং-এ তার দক্ষতা রয়েছে। এছাড়া যুক্ত আছেন ইসলাম প্রতিদিনের স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে।