আন্তর্জাতিক সংবাদ

কুরআন অনুসরণের আহ্বান জানালেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন!

দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা ইয়ামেন-যুদ্ধের অবসান ঘটাতে মুসলিম-বিশ্বের প্রতি কুরআন অনুসরণের আহ্বান জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় অনুষ্ঠিত এক লাইভ কনফারেন্সে পুতিন এ আহ্বান জানান। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানী, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেসেপ তাইয়েপ এরদোগানসহ আরও অনেকে।

দীর্ঘদিন যাবৎ ইয়ামেনে সৌদির সহায়তায় মুসলিম দেশসমূহ হুতী বিদ্রোহীদের সঙ্গে যুদ্ধ করে আসছে। প্রায় দশ হাজার নিরপরাধ মানুষকে প্রাণ হারাতে হয়েছে সৌদি মদদপুষ্ট এই যু্দ্ধে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মুসলিমরা শান্তিপ্রিয় জাতি এ কথা বলার সময় পুতিন পবিত্র কুরআনের আয়াত উদ্ধৃত করেন।

সৌদি আরবকে ইয়ামেনের যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য পুতিনের এই আহ্বানে হাসান রুহানী ও রেসেফ তাইয়েপ এরদোগান পুতিনের প্রশংসা করেন। পুতিন আরও বলেন, যুদ্ধ একমাত্র তখনই করা যেতে পারে যখন আত্মরক্ষার্থে এটি করা হয়।



উল্লেখ্য, পুতিন কুরআনের সুরা আলি ইমরানের ১০৩ নম্বর আয়াত উদ্ধৃত করেন। যেখানে ইসলামপূর্ব আরবদের অবস্থা তুলে ধরা হয়েছে। মানবজাতিকে শান্তি ও সৌহার্দের প্রতি আহ্বান জানিয়ে এ আয়াতে বলা হয়েছে, ‘আর তোমরা সকলে আল্লাহর রজ্জুকে দৃঢ়ভাবে ধারণ করো এবং বিভক্ত হয়ো না। এবং তোমরা তোমাদের ওপর আল্লাহর নিয়ামতকে স্মরণ করো, যখন তোমরা পরস্পর শত্রু ছিলে। তারপর আল্লাহ তোমাদের অন্তরে ভালোবাসার সঞ্চার করেছেন। অতঃপর তাঁর অনুগ্রহে তোমরা ভাই-ভাই হয়ে গেলে। আর তোমরা ছিলে আগুনের গর্তের কিনারায়, অতঃপর তিনি তোমাদের তা থেকে রক্ষা করেছেন। এভাবেই আল্লাহ তোমাদের জন্য তাঁর আয়াতসমূহ বয়ান করেন, যাতে তোমরা সঠিক পথপ্রাপ্ত হও।’

ওকে/এমএইচ

Comment

লেখক পরিচিতি

জাহিদ হাসান মিলু

আমি জাহিদ। সরকাারি কাগজপত্রের জাহিদুল ইসলাম থেকে বেসরকারি কাগজপত্রে জাহিদ হাসান মিলু- নামের এই বিচিত্র পরিবর্তনের পেছনে একটা মিষ্টি গল্প আছে।
জন্মেছি গোপালগঞ্জ জেলার অখ্যাত গ্রাম প্রশন্নপুরে, ১৯৯৬ সালের ডিসেম্বরে। কী এক বিশেষ কারণে যেন কাগজকলমে বয়েস কমিয়ে আমাকে আরও তিনবছরের ছোটো করে রাখা হয়েছে। বাবা মা দুজনেই অক্ষর না শিখেও আমার জীবনের শ্রেষ্ঠতম স্বাক্ষর হয়ে আছেন।
অবুঝ বয়েসে পারিবারিক স্বপ্নের কারণে ভর্তি হতে পেরেছিলাম মাদ্রাসায় , আলহামদুল্লিলাহ। জীবনের সবথেকে বড় পারিবারিক গিফ্ট ছিল এটা আমার জন্য। কুরআন পড়তে শিখলাম, মুখস্থ করতে পারলাম। অর্থ জানলাম এবং ব্যাখ্যাও পড়লাম।
আমাদের পাড়ার মাদ্রাসা কুলিয়ার ভিটায় পড়ার সময় ধর্মের প্রতি আমাদের ভেতরে যে বীজটা রোপিত হয়েছিল, সেটা ডালাপাল মেলে খোলা হাওয়ায় বেড়ে ওঠার সুযোগ পায় প্রাণের প্রতিষ্ঠান এরাবিল মডেল মাদ্রাসায়। তারপর? তারপর আর কি- এখন পড়াশোনা করছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম বিভাগে।
দায়ী হওয়ার স্বপ্ন আমার সবথেকে বড় স্বপ্ন। স্বপ্নটি পূরণ করতেই পড়ছি, শুনছি, দেখছি, শিখছি এবং অপেক্ষা করছি।