আন্তর্জাতিক সংবাদ

মুসলিম স্কলাদের সম্মাননা দিলেন জর্ডানের বাদশাহ

দ্য রয়েল আলে বাইত ইন্সটিটিউট ফর ইসলামিক থটের ১৮তম সাধারণ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী শীর্ষস্থানীয় ইসলামী স্কলারদের সম্মাননা প্রদান করেছেন জর্ডানের মহামান্য বাদশাহ আবদুল্লাহ দ্বিতীয় ইবনে হুসাইন। ইসলামিক বিষয়গুলোকে যথার্থ মর্যাদা প্রদান ও সংরক্ষণের জন্য মুসলিম স্কলারদের প্রচেষ্টার প্রতি সম্মান প্রদর্শনার্থে এ আয়োজন করা হয়েছে বলে জানা যায়।

আল হুসেনিয়া প্রাসাদে অনুষ্ঠিত এই সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গ্র্যান্ড প্রিন্স গাজী বিন মুহাম্মদ, মাননীয় সংস্কৃতিবিষয়ক প্রধান উপদেষ্টা ও ব্যক্তিগত সচিবগণ এবং দ্য রয়েল আলে বাইত ইন্সটিটিউট ফর ইসলামিক থটের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান। বাদশাহ আবদুল্লাহ বেশ কয়েকজন ইসলামী স্কলারকে রয়েল মেডেল প্রদান করেন এবং অন্যান্যদের দ্য রয়েল আলে বাইত ইন্সটিটিউট ফর ইসলামিক থটের ফেলোশিপ সনদ বিতরণ করেন।

অ্যাকাডেমিক রচনাবলি এবং আরবি ভাষার উন্নয়নে অভাবনীয় সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ মহামান্য বাদশাহ ‘জর্ডান অ্যাকাডেমি অব অ্যারাবিক’ এর সাবেক সভাপতি আব্দুল করিম খলিফাকে ‘কিং আবদুল্লাহ দ্বিতীয় ইবনে আল হুসাইন অর্ডার ফর ডিসটিংশন অব দ্য ফার্স্ট ডিগ্রি’ সম্মাননা প্রদান করেন। ইসলামি চিন্তাধারায় অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কলার উসামা আল আজহারিকেও একই সম্মাননা প্রদান করা হয়।



বুয়েন্স আয়ার্সে অবস্থিত ‘ইনস্টিটিউট ফর ইন্টাররিলিজিয়াস ডায়ালগ’ এর পরিচালক ওমর আব্দ এবং যুক্তরাষ্ট্রের জয়তুনা কলেজের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক হামজা ইউসুফ হ্যানসনকেও ইসলামি ভাবধারায় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ  ‘কিং আবদুল্লাহ দ্বিতীয় ইবনে আল হুসাইন অর্ডার ফর ডিসটিংশন অব দ্য ফার্স্ট ডিগ্রি’ সম্মাননা প্রদান করা হয়। এ ছাড়া মহামান্য বাদশাহ চেচনিয়ার গ্র্যান্ড মুফতি সালাহ মেঝিভ  এবং লেভান্টের ‘ইউনিয়ন অব মুসলিম স্কলার্স’ এর সভাপতি মোহাম্মদ আল বুটিকে ফেলোশিপ সনদ প্রদান করেন।

উক্ত কনফারেন্সে অংশগ্রহণকারী আলেমদের পক্ষ থেকে আল আজহারের গ্রান্ড মুফতি আলী গুম্মা এমন একটি সম্মিলন আয়োজনের জন্য দেশটির রাজাকে ধন্যবাদ জানান।

উল্লেখ্য, ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত দ্য রয়েল আলে বাইত ইন্সটিটিউট ফর ইসলামিক থট এখন পর্যন্ত বিশ্বের ৩৬ টি দেশের ১২০ জন আলেম-উলামা এবং চিন্তাবিদকে একত্র করতে পেরেছে। ইসলামিক স্কলারগণ তিনদিনব্যাপী এই কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করে ইসলামি নানা শাস্ত্রের বিষয়ে আলোকপাত করেন।

সূত্র : জর্ডান নিউজ এজেন্সি

ওকে/এমএইচ

 

Comment

লেখক পরিচিতি

জাহিদ হাসান মিলু

আমি জাহিদ। সরকাারি কাগজপত্রের জাহিদুল ইসলাম থেকে বেসরকারি কাগজপত্রে জাহিদ হাসান মিলু- নামের এই বিচিত্র পরিবর্তনের পেছনে একটা মিষ্টি গল্প আছে।
জন্মেছি গোপালগঞ্জ জেলার অখ্যাত গ্রাম প্রশন্নপুরে, ১৯৯৬ সালের ডিসেম্বরে। কী এক বিশেষ কারণে যেন কাগজকলমে বয়েস কমিয়ে আমাকে আরও তিনবছরের ছোটো করে রাখা হয়েছে। বাবা মা দুজনেই অক্ষর না শিখেও আমার জীবনের শ্রেষ্ঠতম স্বাক্ষর হয়ে আছেন।
অবুঝ বয়েসে পারিবারিক স্বপ্নের কারণে ভর্তি হতে পেরেছিলাম মাদ্রাসায় , আলহামদুল্লিলাহ। জীবনের সবথেকে বড় পারিবারিক গিফ্ট ছিল এটা আমার জন্য। কুরআন পড়তে শিখলাম, মুখস্থ করতে পারলাম। অর্থ জানলাম এবং ব্যাখ্যাও পড়লাম।
আমাদের পাড়ার মাদ্রাসা কুলিয়ার ভিটায় পড়ার সময় ধর্মের প্রতি আমাদের ভেতরে যে বীজটা রোপিত হয়েছিল, সেটা ডালাপাল মেলে খোলা হাওয়ায় বেড়ে ওঠার সুযোগ পায় প্রাণের প্রতিষ্ঠান এরাবিল মডেল মাদ্রাসায়। তারপর? তারপর আর কি- এখন পড়াশোনা করছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম বিভাগে।
দায়ী হওয়ার স্বপ্ন আমার সবথেকে বড় স্বপ্ন। স্বপ্নটি পূরণ করতেই পড়ছি, শুনছি, দেখছি, শিখছি এবং অপেক্ষা করছি।