ইবাদত বেসিক ইসলাম

নামাজে রাকাত সংখ্যা ভুলে গেলে কী করবেন?

লিখেছেন মিরাজ রহমান

দৈনিক পাঁচ বার নামাজ পড়া ইসলামের মৌলিক বিধান। অনেক সময় বিভিন্ন চিন্তার কারণে নামাজে রাকাত সংখ্যা খুলে যাওয়া স্বাভাবিক। এটা বেশির ভাগ সময় চার রাকাতবিশিষ্ট নামাজের হয়ে থাকে।  ফরজ নামাজ বা সুন্নাতের ক্ষেত্রেও এমনটা হতে পারে। প্রথম কথা হলো- নামাজে বেশি থেকে বেশি মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন যাতে করে নামাজে কোনো ভুল না হয়। কিন্তু যদি কখনো ভুল হয় বা নামাজে রাকাত সংখ্যা ভুলে যাওয়া হয় তখন আসলে করণীয়টা কী?

নামাজের এই ভুলটা সাধারণত যেহেতু চার রাকাত নামাজের ক্ষেত্রে হয় তাই সব সময় মনে রাখতে হবে যে, কয় রাকাত হয়েছে এর উপর বেশি মন শায় দেবে সেই কয় রাকাত হয়েছে ধরে নিতে হবে এবং নামাজ শেষে করার আগে সাহু সিজদা দিতে হবে।

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমাদের মধ্যে কেউ যখন নামাজ আদায় করার জন্য দাঁড়ায়, তখন যদি আপনি নামাজে ভুল করেন তাহলে বুঝতে হবে যে শয়তান আপনার আশেপাশে কোথাও আছে। (আল বুখারী)

হজরত আবু সাঈদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমাদের মধ্যে কেউ যদি তার নামাজে সন্দেহে পড়ে। অর্থাৎ সে মনে করতে পারে না যে আসলে সে কয় রাকাত নামাজ আদায় করেছেন। তাহলে সে কম রাকাত আদায় হয়েছে ধরে নিবে এবং নামাজ শেষে করার আগে অবশ্যই সাহু সিজদা আদায় করবে। (মুসলিম)

ইসলামী আইনশাস্ত্রের বিধান হলো- যদি আপনি নিশ্চিত থাকেন যে আপনি অন্তত দুটি রাকাত নামাজ আদায় করেছেন। কিন্তু আপনি তৃতীয় ও চতুর্থ চক্রের মধ্যে কোনো রাকাত নামাজ আদায় করছেন সেই বিষয়ে নিশ্চিত নন। তাহলে নিশ্চয়তা ভিত্তিতে অগ্রাধিকার দেন। অথবা তৃতীয় রাকাত পড়ছেন বলে ধরে নেন। আর যথারীতি নামাজ শেষ করার আগে সাহু সিজদা আদায় করুন।

Comment

লেখক পরিচিতি

মিরাজ রহমান

গতানুগতিক ধারার বাইরে থেকে কাজ করে ইতিমধ্যেই বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন মিরাজ রহমান। পেশায় পুরোদস্তুর একজন সাংবাদিক হলেও কেবল ইসলামকে ঘিরেই আবর্তিত তার ধ্যান-জ্ঞান। দৈনিক পত্রিকার ইসলাম পাতায় লেখালেখি থেকে তিনি পরিচিত হয়ে উঠেছেন বটে, কিন্তু একসময় শিল্প চর্চায়ও ছিলেন বেশ মনোযোগী।
মিডিয়ায় সক্রিয়ভাবে কাজ শুরু করেছেন যখন, তখনও তিনি ছাত্র। মাদানিনগর মাদরাসার কাফিয়া জামাতের (শ্রেণি) শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় কণ্ট্রিবিউটর হিসেবে প্রথম কাজ শুরু করেন দৈনিক যুগান্তরে। ধারালো লিখনী শক্তি অল্পদিনের মধ্যে পরিচিত করে তোলে তাকে। দেশের জাতীয় দৈনিক পত্রিকার প্রায় সবগুলোতেই ইসলামবিষয়ক কলাম ও ফিচার লিখেছেন দীর্ঘ সময়। জাতীয় প্রিন্ট মিডিয়াগুলোতে তার অন্তত দুই সহস্রাধিক প্রবন্ধ-নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
মিরাজ মূলত পড়াশুনা করেছেন কওমি শিক্ষাধারায়, এর পাশাপাশি তিনি জেনারেল শিক্ষাধারায়ও পড়াশুনা করছেন। সহ-সম্পাদক হিসেবে প্রথম যোগদান করেন দৈনিক ডেসটিনি পত্রিকায়। সেখান থেকে দৈনিক কালের কণ্ঠে। দেশে-বিদেশে অনলাইন গণমাধ্যমের জয়যাত্রা শুরু হলে মিরাজ ইন্টারনেট জগতকে ইসলাম প্রচারের জন্য সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র বিবেচনা করে অনলাইনেই গাঁটছাড়া বাঁধেন। দেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ইসলামবিষয়ক অনলাইন পোর্টাল প্রিয়.কমের ‘প্রিয় ইসলাম’-এর সৃষ্টি ও পথচলার সূচনা তারই হাতে। দীর্ঘদিন কাজ করেছেন প্রিয়.কমের প্রিয় ইসলাম বিভাগের এডিটর ইনচার্জ। সর্বশেষ কর্মরত ছিলেন দৈনিক বাংলাদেশের খবরের ফিচার ইনচার্জ হিসেবে।
টেলিভেশনে অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা ও আলোচনার সঙ্গেও ইতিমধ্যে যুক্ত হয়েছেন মিরাজ রহমান। পরিচালনা করেছেন বেশ কিছু অনুষ্ঠানও। এসো কলম মেরামত করি, ছোটদের নবী-রাসূল সিরিজ, তাবলিগী জামাতের পৃষ্ঠপোষক-মুরুব্বি ছিলেন যাঁরা, শরয়ী পর্দার বিধান, আশিক মিন ফিলিস্তিন, নারী তুমি সৌভাগ্যবতী ও হালাল ব্যবসা ও হালাল অর্থনীতির কথকতাসহ বেশ কিছু আলোড়ন সৃষ্টিকারী গ্রন্থেও জনক তিনি। বর্তমান তিনি ইসলাম প্রতিদিনের সম্পাদক ও প্রকাশক এবং দ্য সুলতান প্রকাশনীর প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।