ফিচার ফিরে আসার গল্প

মসজিদ উড়িয়ে দিতে এসে হয়ে গেলেন মুসলমান

রিচার্ড ম্যাককিনি, একজন প্রাক্তন মেরিন সার্জেন্ট।  ইসলামের প্রতি তার বিদ্বেষ দিন দিন বেড়েই যাচ্ছিলো। তাই একবার তিনি ঠিকও করলেন মসজিদকে উড়িয়ে দিবেন, কিন্তু তারপর তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে হয়ে গেলেন মুসলিম। রিচার্ড ম্যাককিনি তার সামরিক শাসনামলে মানুষকে হত্যা করার জন্য প্রচন্ড উদগ্রীব হয়ে পড়েছিলেন এবং হত্যা করার পর ট্যাটু আঁকাতে অভ্যস্ত ছিলেন। তিনি আরো বলেন, তিনি এমন কিছু প্রত্যক্ষ করেছেন যা মানুষের সাথে আলোচনা করা সম্ভব নয়।

আল জাজিরাকে বলছেন, আমি শুরু থেকেই ইসলামকে ঘৃণা করতাম না। কিন্তু পরবর্তীতে  ইসলামের প্রতি আমার বিদ্বেষ গড়ে উঠে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসার পরে রিচার্ড মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন এবং মদ্যপানে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছিলেন। পরে মুসলিম ও ইসলামের প্রতি তার অন্তরে ঘৃণা জন্মেছিলো। তিনি আল জাজিরাকে আরো বলেন, ভেবেছিলাম মসজিদ উড়িয়ে দিয়ে দারুণ একটি কাজ করব।



এত ঘৃণার পর রিচার্ড ম্যাককিনি ইসলামিক সেন্টারের সামনে এসে দাঁড়ান। কিন্তু তাতে বোমা মারলেন না বরং মুসলিমদেরকে হত্যা করার আগে তাদেরকে কয়েকটি প্রশ্ন করার জন্য তাদের কাছে গেলেন।  ইসলামিক সেন্টারের ব্যবস্থাপক তাকে পবিত্র কুরআনের একটি ইংরেজি অনুবাদ দেন। পড়া শেষ করার পর আবারো তাকে  আসার জন্য অনুরোধ করেন।

কুরআন পড়ার পর তিনি তার প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে মসজিদে আসতে শুরু করেছিলেন। তিনি বলেন, তার কাছে কখনো মনে হয়নি যে তিনি তাদের কাছে অপ্রিয় মানুষ। এত ঘৃণা সত্ত্বেও  মসজিদের লোকেরা আমার সাথে কখনও খারাপ ব্যবহার করেনি। তিনি আরো বলেন যে, মুসলমানদেরকে তিনি পেয়েছিলেন খুব বন্ধুত্বপূর্ণ মানুষ হিসেবে। তিনি মসজিদ একাধারে  কয়েক ঘন্টা সময় কাটাতে শুরু করেন এবং ৮ সপ্তাহ পরে তিনি ইসলাম গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন।

Comment

লেখক পরিচিতি

আব্দুর রহমান রাশেদ

আমি আব্দুর রহমান রাশেদ। জন্ম গাজীপুরের বোর্ড বাজারে। বাবা আলেম না হলে ও সন্তানদেরকে আলেম বানানোই তাঁর জল্পনা-কল্পনা। সেই হিসেবে আমাকে ভর্তি করালেন মাদ্রাসায়। চার-পাঁচ বছর বয়সেই সকালবেলা মকতবে আসা যাওয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয় আমার প্রাথমিক শিক্ষা।
কোরআন শরীফ নাযেরা করেছি বাসার পাশের "বাইতুস সফীর আল ইসলামিয়া "মাদ্রাসায়। দীর্ঘ পাঁচ বছরে এই মাদ্রাসা থেকেই হিফজ সমাপণ করি এবং ২০১২সালে উত্তরা সেন্টার থেকে বেফাক বোর্ডের অধীনে হিফজ পরিক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করি। ঐ বছরেই পাড়ি জমাই রাজধানী ঢাকার খিলগাঁওয়ে অবস্থিত জামিআ ইকরা বাংলাদেশে। এখানে মীযান জামাত থেকে শুরু করে দাওরায়ে হাদীস (মাস্টার্স) শেষ করেছি।
২০১৯ সালে আল হাইয়াতুল উলয়া লিল জামিআতিল কওমীয়া বংলাদেশের অধীনে অনুষ্ঠিত দাওরায়ে হাদীস পরিক্ষায় মুমতায বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছি। বর্তমানে আদব বিভাগে অধ্যায়নরত আছি উক্ত মাদ্রাসায়।