আন্তর্জাতিক সংবাদ

সংস্কার করা হবে হেরা ও সাওর গুহা, থাকবে না লেখা-অঙ্কন

লকডাউনের এ দীর্ঘ সময়ে মক্কা শহরে অবস্থিত হেরা গুহা ও সাওর গুহাকে পরিমার্জিত বা সংস্কার করা হবে বলে জানা গেছে। শনিবার মক্কা প্রদেশের আমির প্রিন্স খালিদ আল ফয়সাল এ প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছেন বলে জানায় সৌদি প্রেস এজেন্সি। মক্কা প্রদেশের সহকারী আমির প্রিন্স বদর বিন সুলতানের তত্বাবধানে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে।

লম্বায় চার মিটারেরও কম আর প্রস্থে দেড় মিটারের হেরা গুহা গ্রান্ড মসজিদের দুই মাইল দূরে অবস্থিত। এই গুহাতেই ধ্যানমগ্ন অবস্থায় ৬১৯ সালে রাসুল (সা.)-এর ওপর প্রথম পবিত্র কুরআন অবতীর্ণ হয়। আর কুরাইশদের থেকে লুকিয়ে সাওর গুহাতেই অবস্থান করেছিলন হজরত মুহাম্মাদ (সা.) ও হজরত আবু বকর (রা.)।

মক্কার রয়্যাল কমিশন, ইমিরাত অব মক্কা এন্ড হোলি প্লেসেজ, মক্কা পুলিশ, মক্কা মেয়রালিটি অ্যান্ড দ্য অথরিটি ফর ডেভেলপমেন্ট অব মক্কা প্রভিন্সের অধীনে প্রকল্প দুটি বাস্তবায়িত হবে। বিগত বছরগুলোতে বিবর্ণ হওয়া এই দুটি পবিত্র স্থানের অবস্থার উন্নয়ন ঘটানোর উদ্দেশ্যেই এমনটা করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা তীর্থ যাত্রীদের জমায়েত থাকায় বছরের অন্যান্য সময়ে এই কাজটি করা অসম্ভব। এই স্থানগুলোকে তাদের পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নেয়া হবে। ৩০ দিনের প্রথম ধাপে দুটি গুহায় থাকা সব অঙ্কন ও আরবি লেখাগুলোও মুছে ফেলা হবে। এছাড়া উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই দুই গুহার দিকে যাওয়ার রাস্তাদুটিও পরিষ্কার করা হবে। দস্তা, তাবু, কাঠ-কংক্রিটের অবয়বগুলো সরিয়ে নেয়া হবে এবং অন্য ধাপে গুহার চারপাশ, গুহামূখী রাস্তাও সংস্কার করা হবে বলে জানা যায়।

তথ্যসূত্র : দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন   

 

Comment

লেখক পরিচিতি

জাহিদ হাসান মিলু

আমি জাহিদ। সরকাারি কাগজপত্রের জাহিদুল ইসলাম থেকে বেসরকারি কাগজপত্রে জাহিদ হাসান মিলু- নামের এই বিচিত্র পরিবর্তনের পেছনে একটা মিষ্টি গল্প আছে।
জন্মেছি গোপালগঞ্জ জেলার অখ্যাত গ্রাম প্রশন্নপুরে, ১৯৯৬ সালের ডিসেম্বরে। কী এক বিশেষ কারণে যেন কাগজকলমে বয়েস কমিয়ে আমাকে আরও তিনবছরের ছোটো করে রাখা হয়েছে। বাবা মা দুজনেই অক্ষর না শিখেও আমার জীবনের শ্রেষ্ঠতম স্বাক্ষর হয়ে আছেন।
অবুঝ বয়েসে পারিবারিক স্বপ্নের কারণে ভর্তি হতে পেরেছিলাম মাদ্রাসায় , আলহামদুল্লিলাহ। জীবনের সবথেকে বড় পারিবারিক গিফ্ট ছিল এটা আমার জন্য। কুরআন পড়তে শিখলাম, মুখস্থ করতে পারলাম। অর্থ জানলাম এবং ব্যাখ্যাও পড়লাম।
আমাদের পাড়ার মাদ্রাসা কুলিয়ার ভিটায় পড়ার সময় ধর্মের প্রতি আমাদের ভেতরে যে বীজটা রোপিত হয়েছিল, সেটা ডালাপাল মেলে খোলা হাওয়ায় বেড়ে ওঠার সুযোগ পায় প্রাণের প্রতিষ্ঠান এরাবিল মডেল মাদ্রাসায়। তারপর? তারপর আর কি- এখন পড়াশোনা করছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম বিভাগে।
দায়ী হওয়ার স্বপ্ন আমার সবথেকে বড় স্বপ্ন। স্বপ্নটি পূরণ করতেই পড়ছি, শুনছি, দেখছি, শিখছি এবং অপেক্ষা করছি।