লেখক- উবায়দুর রহমান খান নদভী

লেখক- কিশোরগঞ্জের কৃতিসন্তান দেশবরেণ্য আলেমে-দীন ও সংসদ সদস্য মাওলানা আতাউর রহমান খান (রহ.) -এর বড় ছেলে মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী। তিনি একাধারে একজন বিদগ্ধ আলেম, দার্শনিক বক্তা, সমাজকর্মী, শিক্ষক, খতিব এবং সাংবাদিক। দৈনিক ইনকিলাবের স্বর্ণযুগ থেকেই যুক্ত রয়েছেন এবং বর্তমানে তিনি ইনকিলাবের সিনিয়র সহকারী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। দীনি ও জেনারেল উভয় শিক্ষায় শিক্ষিত জনাব নদভীর পড়াশোনা জীবনের প্রাতিষ্ঠানিক হাতেখড়ি হয় কিশোরগঞ্জের জামিয়া ইমদাদিয়াতে ভর্তি হওয়ার মাধ্যমে। মাওলানা নদভী দাওরায়ে হাদিস সমাপ্ত করেছেন ১৯৮৩ সালে কিশোরগঞ্জ এর জামিয়া ইমদাদিয়া থেকে। এরপর চট্টগ্রামের জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়া থেকে আরবি সাহিত্যে তাখাসসুস করেছেন ১৯৮৪ সালে এবং স্নাতক সম্পন্ন করেছেন ১৯৮৫-৮৬ সালে ভারতের নদওয়াতুল ওলামায়। এম.এ ডিগ্রী নিয়েছেন ১৯৯৪ সালে। এরই মাঝে আবার ১৯৮৫ সালে মদিনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামি দাওয়াহ ও সংস্কৃতির ওপর বিশেষ প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তিনি এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ১৯৯২ সালে রাষ্ট্র ও রাজনীতি বিজ্ঞানে ডিপ্লোমা করেছেন। এছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে মিডিয়ার ওপর আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ কোর্সও করেছেন জনাব নদভী। উবায়দুর রহান খান নদভীর পিতার নাম মাওলানা আতাউর রহমান খান এবং মাতার নাম মুরশিদা-ই-আমিনা। ১৯৬৬ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জের জামিয়া রোডস্থ নূর মঞ্জিলে জন্মগ্রহণ করেন নদভী। বর্তমানে তিনি বসবাস করেছেন ২/১ আর কে মিশন রোড, ঢাকায়। শিক্ষকতা এবং সাংবাদিতকায় সুদীর্ঘ ৩০ বছর যাবৎ আস্থার সাথে নিজেকে জড়িত রেখেছেন মাওলানা নদভী। ২৫ বছর যাবৎ জুমআর নামাজের খতিব হিসেবে দায়িত্বরত রয়েছেন ঢাকার মিরপুরস্থ মদিনা নগর মসজিদে। ১৯৭৮ সালে দৈনিক আল-আজাদে মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভীর প্রথম লেখা প্রকাশিত হয়। লেখার নাম ছিলো সাহিত্য সাধনা। সাইয়্যেদ আবুল হাসান আলী নদভি রচিত আমার দেখা প্রাচ্য নামের একটি গ্রন্থের অনুবাদ তার প্রথম প্রকাশিত অনুবাদ গ্রন্থ এবং নিজস্ব প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থের নাম অমুসলিম মনীষীদের চোখে আমাদের প্রিয়নবী (সা.)। এছাড়া আরো বেশ কিছু আলোচিত ও বিবেক জাগানিয়া গ্রন্থের জনক তিনি। মাওলানা নদভী রচিত আধুনিক বিশ্বের চল্লিশজন নওমুসলিমের আত্মকাহিনী, ইতিহাসের কান্না, হৃদয় থেকে, নবীজী (সা.) কেমন ছিলেন, রক্তভেজা গুজরাট, ছেঁড়া পাতা, মুজাহিদের জীবনকথা এবং আফগানিস্তানে আমি আল্লাহকে দেখেছি বইগুলোর প্রত্যেকটাই বেশ সাড়া জাগানো এবং ব্যবসা সফল। দৈনিক ইনকিলাবে কাজ করার পাশাপাশি দেশের প্রায় সব বড় বড় কওমি মাদরাসাতে অতিথি অধ্যাপক হিসেবে ক্লাস নেওয়াটা মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভীর বিশেষ একটি পরিচয়। পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘উপমহাদেশের ভাষায় আরবির প্রভাব’ বিষয়ে পিএইচডি সম্পন্নকারী মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভীর কাছে ইসলাম ও মিডিয়ার মধ্যকার সম্পর্ক বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মিডিয়া হলো গণমানুষের মুখপত্র। আর ইসলাম গণমানুষের ধর্ম। গণমানুষের কাছে ইসলামের বাণী-বার্তা পৌঁছানো ইসলামের মৌলিক একটি দিক আর এই কাজে মিডিয়া হলো সবচেয়ে উত্তম মাধ্যম। সুতরাং একথা নিশ্চিন্তে বলা যায় যে, ইসলামের সবচেয়ে নিকটবর্তী মাধ্যম হলো মিডিয়া।’

ফিচার রাজনীতি

প্রচলিত ইসলামী রাজনীতির বেহাল অবস্থা

বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিক ইসলামী রাজনীতি নতুন নয়। মুসলিম শাসনামলে গণতান্ত্রিক রাজনীতি ছিল না। সেখানে...