আন্তর্জাতিক সংবাদ

ফেরেশতার নামে বাজারে নতুন মডেলের জুতা আনছে অ্যাডিডাস

আমেরিকান নাগরিক কেনিয়া ওয়েস্টের করা নতুন ডিজাইনের এ জুতা নিয়ে সমালেচনার ঝড় বইছে সোস্যাশ মিডিয়ায়। পরিবেশক ও প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের বিচার চাইছেন মুসলিম স্কলারগণ। ইসলাম ধর্মের প্রধান চার ফেরেশতার দুই ফেরেশতা হজরত ইসরাফিল (আ.) ও হজরত আজরাইল (আ.)- এর নামে নামকরণ করে নতুন ডিজাইনের জুতা বাজারজাতকরণের ঘোষণা দিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে ডিজাইনার কেনিয়া ওয়েস্ট ও অ্যাডিডাস কোম্পানি।

বার্তা সংস্থা দ্য ইসলামিক ইনফরমেশনের সূত্রে জানা যায়, কেনিয়া ওয়েস্টের করা ডিজাইনের জুতা দুটি সেপ্টেম্বরে বাজারে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্বব্যাপী পরিচিত জুতা প্রস্তুতকারী ও পরিবেশক প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাস ।

কেনিয়া ওয়েস্টের করা ইসরাফিল ও আজরাইলের নাম অঙ্কিত ডিজাইন করা জুতার ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরলে সমালোচনার ঝড় উঠে বিশ্বব্যাপী। এ সংবাদটি আঘাত হানে শত কোটি মুসলিমের হৃদয়ে।

ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত হানা এবং ধর্মীয় মূল্যবোধ অবমাননার দায়ে জুতা প্রস্তুতকারী ও পরিবেশক প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাসের বিচার দাবি করছেন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা মুসলিম সম্প্রদায়। তারা আরো দাবি জানিয়েছেন যে, কোনোভাবেই যেন ফেরেশতাদের নামে ডিজাইন করা এই জুতা বাজারে আনা না হয়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পাশাপাশি বিষয়টি নজর কেড়েছে বিশ্বের বহু ইসলামী স্কলারদেরও। তারা জানিয়েছেন, এভাবে ইসলামের মৌলিক বিশ্বাসের অংশ ফেরেশতাদের নামে নামকরণ করে জুতা ডিজাইন করা এবং সেটা বাজারজাতকরণের ঘোষণা দেওয়া কোনোভাবেই সমুচীন নয়। এ ডিজাইন ও সিন্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান বহু মুসলিম স্কলার।

বিষয়টি নিয়ে কথা হয় ঢাকাস্থ বায়তুল ওয়াদুদ জামে মসজিদের খতিব ও সুপরিচিত মিডিয়া স্কলার মাওলানা সাদিকুর রহমান আজহারীর সঙ্গে। এ বিষয়ে ইসলাম প্রতিদিনকে তিনি বলেন,



শুধু ইসলাম ধর্ম বা মুসলিম সম্প্রদায়ের নয়; কোনো ধর্মের মৌলিক বিশ্বাস ও মূল্যবোধে আঘাত হেনে এভাবে কোনো পণ্য বাজারকরণ কোনোভাবেই সমুচীন নয়। সুতরাং অ্যাডিডাসের মতো সুপ্রসিদ্ধ প্রতিষ্ঠান এ বিষয়টি বিবেচনায় রেখে ফেরেশতাদের নামে নতুন ডিজাইনের জুতা বাজারজাতকরণের সিন্ধান্তটি বাতিল করবেন —এমনটাই প্রত্যাশা রইলো।

Comment

লেখক পরিচিতি

মুহাম্মদ বিন ওয়াহিদ

মুহাম্মদ বিন ওয়াহিদ— তরুণ সংবাদকর্মী ও সম্পাদক হিসেবে পরিচিত। ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার ডাকাতিয়া গ্রামের বাসিন্দা। প্রাথমিক শিক্ষাজীবন শুরু গ্রামের মক্তব থেকে। ৭ বছর বয়সে নিজ ইচ্ছায় ইসলামী শিক্ষা শুরু করেন ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামি'আ রাহমানিয়া আরাবিয়ায়। সেখানে দীর্ঘ ১২ বছর পড়াশোনা করে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণের জন্য চলে যান ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দে। সেখানে দেড় মাস অবস্থান করে পারিপার্শ্বিক অবস্থার অবনতির জন্য দেশে চলে আসতে হয় তাকে। সর্বশেষ ২০২০ সালে তিনি জামিয়া শারঈয়্যা মালিবাগে দাওরায়ে হাদিস অধ্যয়ন করছেন।
২০১২ সালে মিজান জামাত থেকে লেখালেখির সূচনা করেন এবং এর কিছুদিন পর থেকেই বিভিন্ন ছোট কাগজে, গল্প,কবিতা, প্রবন্ধ-নিবন্ধ, ভ্রমণকাহিনিসহ নানা বিষয়ে তিনি নিয়মিত লিখতে থাকেন। ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর হিজরত পরবর্তী জীবন নিয়ে ৬৪ পৃষ্ঠার চমৎকার একটি উপন্যাসের বইও তিনি রচনা করেন। যা মানবাধিকার প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হয়েছে।
২০১৯ সাল থেকে দৈনিক যুগান্তর,দৈনিক আমার সংবাদ,দৈনিক আমাদের সময়, দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ,বার্তা২৪, দুরন্ত নিউজ, ইনসাফ, আওয়ার ইসলাম এবং ইসলাম প্রতিদিনসহ দেশের সব জাতীয় দৈনিকে তিনি নিয়মিত লিখে চলেছেন। এছাড়াও কাজ করছেন ইসলাম প্রতিদিনের আন্তর্জাতিক ডেক্সে।