আন্তর্জাতিক সংবাদ

সৌদি ভার্সিটিগুলোতে কওমি সনদ গ্রহণের অনুরোধ জানালেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

রিয়াদে সৌদিআরবের ইসলামবিষয়ক মন্ত্রী ড. আবদুল লতিফ বিন আবদুল আজিজ আলে শায়খের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মুহাম্মাদ আবদুল্লাহর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়। বৈঠকে অন্যতম আলোচ্য বিষয় ছিল সৌদিআরবের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কওমি সনদপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ প্রদান।

বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক কওমি সনদের স্বীকৃতি, কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিসের সনদকে আরবি ও ইসলামিক সাডিজ বিষয়ে মাস্টার্সের সমমান প্রদান, দেশের আর্থ-সামাজিক কর্মকাণ্ডে কওমি পড়ুয়া ছাত্র ও আলেমসমাজের ভূমিকা এবং প্রচলিত অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রদের তুলনায় কওমি ছাত্র-ছাত্রীদের ইসলাম ও আরবিভাষায় বহুমাত্রিক যোগ্যতা ইত্যাদি বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরা হয় উক্ত বৈঠকে। সৌদি মন্ত্রীও মনযোগসহকারে সবকথা শুনেন এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন।

উল্লেখ্য, স্মরণকালের ইতিহাসে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার কর্তৃক কওমি সনদ ও কওমি ডিগ্রির স্বীকৃতি প্রদান এক ঐতিহাসিক ঘটনা। এতে সাধারণ শিক্ষিত সমাজে পিছিয়ে পড়া ও অবহেলিত লক্ষ লক্ষ কওমি ছাত্র ও আলেম-উলামাদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হয়। সমাজসেবা, চাকরি, উচ্চশিক্ষাগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি হয়। এতোদিন বিষয়টি দেশের অভ্যন্তরে থাকলেও এবং বহির্বিশ্বে ব্যক্তিগত উদ্যোগে দু’একজন কওমিছাত্র আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেলেও- আমার জানা মতে এ-প্রথম সরকারিভাবে কোনো প্রয়াস নেয়া হলো। এমন একটি মহান উদ্যোগের সাক্ষী হতে পেরে আমি গর্ববোধ করছি।

বৈঠকে সৌদি ইসলামবিষয়ক উপমন্ত্রী ড, ইউসুফ বিন মুহাম্মদ, ধর্মসচিব ড. আবদুল্লাহ আস-সামিল, বিদেশে সৌদি মিশনসমূহে নিযুক্ত ধর্মীয় এ্যাটাশে বিষয়ক মহাপরিচালক শায়খ মুহাম্মদ বিন আবদুল ওয়াহিদ আল-আরিফি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ধর্মপ্রতিমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সৌদিআরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জনাব গোলাম মসীহ, ধর্মসচিব আনিসুর রহমান, বাংলাদেশ দূতাবাসের উপমিশন প্রধান ড. নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

Comment

লেখক পরিচিতি

জাহিদ হাসান মিলু

আমি জাহিদ। সরকাারি কাগজপত্রের জাহিদুল ইসলাম থেকে বেসরকারি কাগজপত্রে জাহিদ হাসান মিলু- নামের এই বিচিত্র পরিবর্তনের পেছনে একটা মিষ্টি গল্প আছে।
জন্মেছি গোপালগঞ্জ জেলার অখ্যাত গ্রাম প্রশন্নপুরে, ১৯৯৬ সালের ডিসেম্বরে। কী এক বিশেষ কারণে যেন কাগজকলমে বয়েস কমিয়ে আমাকে আরও তিনবছরের ছোটো করে রাখা হয়েছে। বাবা মা দুজনেই অক্ষর না শিখেও আমার জীবনের শ্রেষ্ঠতম স্বাক্ষর হয়ে আছেন।
অবুঝ বয়েসে পারিবারিক স্বপ্নের কারণে ভর্তি হতে পেরেছিলাম মাদ্রাসায় , আলহামদুল্লিলাহ। জীবনের সবথেকে বড় পারিবারিক গিফ্ট ছিল এটা আমার জন্য। কুরআন পড়তে শিখলাম, মুখস্থ করতে পারলাম। অর্থ জানলাম এবং ব্যাখ্যাও পড়লাম।
আমাদের পাড়ার মাদ্রাসা কুলিয়ার ভিটায় পড়ার সময় ধর্মের প্রতি আমাদের ভেতরে যে বীজটা রোপিত হয়েছিল, সেটা ডালাপাল মেলে খোলা হাওয়ায় বেড়ে ওঠার সুযোগ পায় প্রাণের প্রতিষ্ঠান এরাবিল মডেল মাদ্রাসায়। তারপর? তারপর আর কি- এখন পড়াশোনা করছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম বিভাগে।
দায়ী হওয়ার স্বপ্ন আমার সবথেকে বড় স্বপ্ন। স্বপ্নটি পূরণ করতেই পড়ছি, শুনছি, দেখছি, শিখছি এবং অপেক্ষা করছি।