কবিরাহ গুনাহ বিধান

কবরে কঠিন আজাব হবে যে ৬টি গুনাহর কারণে

কবরের শাস্তিকে আমরা সাধারণত কবরের আজাব বলে জানি। কবরে আজাব বা শাস্তি এবং সুখ বা শান্তির বিধান সত্য। পবিত্র কোরআন-হাদীস দ্বারা এটি প্রমাণিত। এর অর্থ হলো আপনি, আমি- আমাদের জীবদ্দশায় যে যে নিষিদ্ধ কাজ বা পাপ অথবা গুনাহ করব, তার জন্য কবরে শাস্তি বা আজাব ভোগ করতে হবে। যে ৬টি গুনাহ বা পাপের কারণে নিশ্চিতভাবে কবরে আজাব হবে, সেগুলো হলো :

১. যিনা : হজরত নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যিনা-ব্যভিচারীদের জাহান্নামে কঠিন শাস্তি ভোগ করতে দেখেছিলেন।

২. মিথ্যা বলা : মহানবী (সা.) এমন লোকদেরও জাহান্নামে দেখেছিলেন যারা প্রচুর মিথ্যা কথা বলত।
৩. নামাজ ছেড়ে দেয়া : মিরাজের রাতে দুজন ফেরেশতা হজরত নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এমন ব্যক্তিদের দেখিয়েছিলেন যাদের দৈনিক তিন ওয়াক্ত ফরজ নামাজ ছেড়ে দেয়ার কারণে পাথর দিয়ে মাথা ফাটিয়ে মর্মান্তিকভাবে শাস্তি দেওয়া হচ্ছিল।

৪. গীবত করা : গীবত একটি মারাত্মক ব্যাধি। হাদীসে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম গীবতের কঠিন শাস্তি সম্পর্কে সতর্ক করেছেন।

৫. মুনাফেকি করা : কোরআন ও হাদীসের অসংখ্য জায়গায় বলা হয়েছে যে, মুনাফিকরা জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে থাকবে।

৬. শিরক করা : শিরক এমন একটি মারাত্মক গুনাহ, যা আল্লাহ তাআলা কখনোই ক্ষমা করবেন না। আল্লাহ তাআলা সুরা আন’আমের ৯৩ নম্বর আয়াতে শিরক করার ফলে কবরের ভয়াবহ শাস্তির কথা বলেছেন।

প্রত্যেক মুসলমানের উচিত কবরের আজাব বা শাস্তি থেকে বেঁচে থাকার উদ্দেশ্যে উল্লেখিত ৬টি পাপের কাজসহ সব ধরনের পাপাচার থেকে নিজেকে বিরত রাখা। আল্লাহ আমাদের সবাইকে ক্ষমা করুন। আমিন।

ওকে/এমএইচ

Comment

লেখক পরিচিতি

আব্দুর রহমান রাশেদ

আমি আব্দুর রহমান রাশেদ। জন্ম গাজীপুরের বোর্ড বাজারে। বাবা আলেম না হলে ও সন্তানদেরকে আলেম বানানোই তাঁর জল্পনা-কল্পনা। সেই হিসেবে আমাকে ভর্তি করালেন মাদ্রাসায়। চার-পাঁচ বছর বয়সেই সকালবেলা মকতবে আসা যাওয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয় আমার প্রাথমিক শিক্ষা।
কোরআন শরীফ নাযেরা করেছি বাসার পাশের "বাইতুস সফীর আল ইসলামিয়া "মাদ্রাসায়। দীর্ঘ পাঁচ বছরে এই মাদ্রাসা থেকেই হিফজ সমাপণ করি এবং ২০১২সালে উত্তরা সেন্টার থেকে বেফাক বোর্ডের অধীনে হিফজ পরিক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করি। ঐ বছরেই পাড়ি জমাই রাজধানী ঢাকার খিলগাঁওয়ে অবস্থিত জামিআ ইকরা বাংলাদেশে। এখানে মীযান জামাত থেকে শুরু করে দাওরায়ে হাদীস (মাস্টার্স) শেষ করেছি।
২০১৯ সালে আল হাইয়াতুল উলয়া লিল জামিআতিল কওমীয়া বংলাদেশের অধীনে অনুষ্ঠিত দাওরায়ে হাদীস পরিক্ষায় মুমতায বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছি। বর্তমানে আদব বিভাগে অধ্যায়নরত আছি উক্ত মাদ্রাসায়।