আন্তর্জাতিক সংবাদ

নাসায় মনোনীত বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ মুসলিম নারী রাদিয়াহ আমির

এ যাবৎকালের সর্বকনিষ্ঠ মুসলিম নারী হিসেবে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ১২ বছর বয়েসি রাদিয়াহ আমির নাসার ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। রাদিয়াহ আমির বসবাস করেন পাকিস্তানের করাচিতে এবং সেখানকার ‘ব্রিটিশ ওভারসিস স্কুল’- এ অধ্যয়ন করছেন তিনি। রাদিয়াহ নাসার তত্ত্বাবধায়নে ‘অ্যাস্ট্রোনোট ট্রেনিং এক্সপেরিয়েন্স’ (ATX) -এর জন্য সপ্তাহব্যাপী ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামের উদ্দেশে কেনেডি স্পেস সেন্টার পরিদর্শন করবেন, তথ্যটি যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস তাদের ফেসবুক পেজে নিশ্চিত করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস তাদের ফেসবুক পেজে লিখেছে, ‘রাদিয়াহ ২৬ জনবিশিষ্ট একটি গ্রুপে থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হবেন। গোটা প্রশিক্ষণ সেশনটিতে থাকবে ‘অ্যাসট্রোনাট সিমুলেশন’ ও ‘মাইক্রোগ্র্যাভিটি স্পেসওয়াক’সহ আরও নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলী। আশা করা যায়, রাদিয়াহ সময় মতো প্রশিক্ষণকালীন চাপ, অভিজ্ঞতা, পরিভাষাসহ সমস্ত কিছ শিখে নিতে পারবে এবং এগুলো তার পরবর্তী জীবনেও কাজে আসবে- যা একজন নভোচারীর তার প্রতিটি জার্নিতেই সহযোগি হিসেবে কাজে আসে।

এ নির্বাচনের ফলে রাদিয়াহ আমির  হতে যাচ্ছেন নাসায় অংশগ্রহণকারী বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ মুসলিম নারী। নিঃসন্দেহে রাদেয়ার বাবা -মা ও যারা তাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন তাদের জন্য এটি গর্বের বিষয়। রাদিয়াহর জন্য শুভকামনা রইলো। সে যেন তার গৌরবোজ্জ্বল ক্যারিয়ার গড়ে বিশ্বমানবতার সেবায় এগিয়ে এসে প্রমাণ করতে পারেন, মুসলিমরা কারোর চেয়ে কম নয়।

সূত্র : দ্যইসলামিকইনফরমেশন.কম

Comment

লেখক পরিচিতি

জাহিদ হাসান মিলু

আমি জাহিদ। সরকাারি কাগজপত্রের জাহিদুল ইসলাম থেকে বেসরকারি কাগজপত্রে জাহিদ হাসান মিলু- নামের এই বিচিত্র পরিবর্তনের পেছনে একটা মিষ্টি গল্প আছে।
জন্মেছি গোপালগঞ্জ জেলার অখ্যাত গ্রাম প্রশন্নপুরে, ১৯৯৬ সালের ডিসেম্বরে। কী এক বিশেষ কারণে যেন কাগজকলমে বয়েস কমিয়ে আমাকে আরও তিনবছরের ছোটো করে রাখা হয়েছে। বাবা মা দুজনেই অক্ষর না শিখেও আমার জীবনের শ্রেষ্ঠতম স্বাক্ষর হয়ে আছেন।
অবুঝ বয়েসে পারিবারিক স্বপ্নের কারণে ভর্তি হতে পেরেছিলাম মাদ্রাসায় , আলহামদুল্লিলাহ। জীবনের সবথেকে বড় পারিবারিক গিফ্ট ছিল এটা আমার জন্য। কুরআন পড়তে শিখলাম, মুখস্থ করতে পারলাম। অর্থ জানলাম এবং ব্যাখ্যাও পড়লাম।
আমাদের পাড়ার মাদ্রাসা কুলিয়ার ভিটায় পড়ার সময় ধর্মের প্রতি আমাদের ভেতরে যে বীজটা রোপিত হয়েছিল, সেটা ডালাপাল মেলে খোলা হাওয়ায় বেড়ে ওঠার সুযোগ পায় প্রাণের প্রতিষ্ঠান এরাবিল মডেল মাদ্রাসায়। তারপর? তারপর আর কি- এখন পড়াশোনা করছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম বিভাগে।
দায়ী হওয়ার স্বপ্ন আমার সবথেকে বড় স্বপ্ন। স্বপ্নটি পূরণ করতেই পড়ছি, শুনছি, দেখছি, শিখছি এবং অপেক্ষা করছি।